নিজস্ব সংবাদ দাতা: প্রখর দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। গ্রীষ্মের এই দাপট থেকে পড়ুয়াদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সারা রাজ্যে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৭ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকেও বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সারা রাজ্যের সাথে এই নির্দেশ মেনে মালদাতেও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তে এই অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে।
এই গ্রীষ্মের দাবদাহে শিশুদের স্কুল যেতে কষ্ট হবে এই কথা ভেবে রাজ্য সরকারের যে ছুটির ঘোষণা করেছে, তার যেমন একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে তেমনি অনেক স্কুলেই চলছে পরীক্ষা, সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন ক্লাসের সিলেবাস শেষ করতে পারেনি প্রায় বেশির ভাগ স্কুল। তারি মধ্যে হঠাৎ এই ছুটি ঘোষণা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা। স্কুলে স্কুলে চলা পরীক্ষাগুলি পরবর্তীকালে কিভাবেই বা শেষ করা হবে সিলেবাস এই নিয়ে উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন। এই ছুটির ফলে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলি কিভাবে নেয়া হবে তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবক ও কিছু শিক্ষাবিদদের মধ্যে।
বিশেষ করে বেশি গ্রামের যেসব ছেলে মেয়ে পারিবারিক দারিদ্রতার কারণে গৃহ শিক্ষক রাখতে পারেন না, পড়াশুনার জন্য বিদ্যালয় শিক্ষকদের পরামর্শই তাদের একমাত্র ভরসা, সেই সব ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে এবং হঠাৎ করে এই ছুটি ঘোষণায় পরীক্ষাগুলি যে বন্ধ হয়ে গেল তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটি বিরূপ মনোভাব তৈরি হবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশের। এই শূন্যতা কি ভাবে কাটিয়ে ওঠা যাবে তাই যথেষ্টই চিঞ্চিত অভিভাবক মহল।