মালদার চিত্রশিল্পী দের উৎসাহিত করলেন সমীর আইচ।

নিজস্ব সংবাদদাতা : আমাদের রাজ্যে সরকারি উদ্যোগে কোন আর্ট স্কুল নেই , কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কিন্তু প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে কম করে ২৫০ জন ছাত্র, ছাত্রী পাস করে বেরোচ্ছে । তারা কোথায় চাকরি করবে সেই ব্যাপারে সরকারের কোনো হেলদোল নেই। কিন্তু চণ্ডীগড় ও হরিয়ানার মত রাজ্য এই ব্যাপারে অনেক এগিয়ে। এখনও অব্দি এই রাজ্যে কোনো সরকার ভাবেনি। হয়তো পরবর্তীতে কেউ ভাববে। এই ভাষাতেই মালদায় এসে উসমা প্রকাশ করলেন আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী সমীর আইচ।

চিত্রশিল্পীদের জন্য আর্ট মেটেরিয়াল এর এক আধুনিক বিপনীর উদ্বোধনে মালদায় আসেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সমির আইচ। মালদার এলিট কর্নারে অবস্থিত আর্ট স্পেস নামে চিত্রশিল্পীদের জন্য এক আধুনিক রংয়ের বিপনির উদ্বোধন করেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সমীর আইচ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, মঞ্জু শর্মা, রনজিত দেবভূতি, জয় পোদ্দার, প্রদ্যত মজুমদার, বিবেক সাহা সহ জেলার চিত্রশিল্পীরা ও বিশিষ্ট মানুষেরা। সমীর আইচ কে পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন বিপনীর কর্ণধার অনিকেত ঝা। উদ্বোধনের শেষে, উনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, মফস্বল শহরের আনাচে কানাচে যে প্রচুর ছেলে মেয়ে ভালো ছবি আঁকছে তাদের নিয়ে কিছু ভাবছেন কিনা । এর উত্তরে সমীরবাবু বলেন, আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করি যেখানে সরকারি উদ্যোগে আর্ট স্কুল নেই, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আর্ট স্কুল না থাকার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মরাল সেভাবে তৈরি হচ্ছে না। আমি দীর্ঘদিন একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সেক্রেটারি ছিলাম সেই সময় আমি বহু চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন সরকারই কর্ণপাত করেনি। উত্তরবঙ্গে একটি আর্ট এর বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবার দরবার করেছি ,কিন্তু কোন উত্তর মেলেনি। সরকারের এই উদাসীনতায় কার্যত উনি যে বিরক্ত এদিনের বক্তব্যে তা বোঝা যায়। মালদার ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি যেসব ছেলে মেয়ে সঠিক সরঞ্জামের অভাবে তাদের শিল্পকর্ম সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনা তারাও উপকৃত হবে এই দোকান হওয়ার জন্য। পাশাপাশি তিনি শুধু মালদা নয় সমগ্র উত্তরবঙ্গে আর্ট স্পেসকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। জেলার বিশিষ্ট চিত্রশিল্পীদের মধ্যে যাদের সঙ্গে তার ভীষণ পরিচিত তাদের সঙ্গে স্মৃতির মন্থন ও সৌহার্দ্য বিনিময় করেন তিনি।