আচার্যের নির্দেশে উপাচার্য পেল গৌড়বঙ্গ ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা মালদা : অবশেষে উপাচার্য পেল গৌড়বঙ্গের দুই বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ এর নির্দেশে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত হলেন দুইজন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক উপাচার্য হিসাবে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিনের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রজত কিশোর দে দায়িত্ব পেলেন উপাচার্য হিসাবে।পাশাপাশি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এর দায়িত্ব পেলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তথা প্রাক্তন ডিন ডক্টর দীপক কুমার রায়।
২০০৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় যোগদেন রজত কিশোরদে। এরপর তিনি ধাপে, ধাপে বাংলা বিভাগের প্রধান হয়ে প্রায় দু’বছর দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি কন্ট্রোলার হিসেবেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাস দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও আই কিউ এস সির ডিরেক্টর হিসেবে কিছুদিন দায়িত্বে ছিলেন। তিনি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারে আমন্ত্রণে বাংলাদেশ ও জাপানে অংশ নিয়েছেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় যোগদানের আগে তিনি ফারাক্কার নুরুল হাসান কলেজে অধ্যাপনা করতেন। এবং বোলপুরের পূর্নি দেবী গার্লস কলেজের ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য রজত কিশোর দে জানান আচার্য আমাকে নিযুক্ত করেছেন, এই জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এর মধ্যেই আমি আমার দায়িত্বভার গ্রহণ করব। সবাইকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস ও রাজ্য সরকারের আইনকে মান্যতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন, পাঠন এবং গবেষণা সহ যা যা উন্নয়ন করা সম্ভব সেই চেষ্টা করব। পাশাপাশি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দীপক কুমার রায় উপাচার্য পদ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে খুশি সকলে। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপনা করতেন, এবং এই বিশ্ব বিদ্যালয়ে বাণিজ্য, কলা ও আইন অনুসদের ডিন এর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও পঠন-পাঠনের উন্নতির দিকে বিশেষ নজর দেবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত গৌড়বঙ্গের উপাচার্য হিসেবে সান্তা ছেত্রীর মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ শে মার্চ। তারপর থেকে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্টার অপূর্ব চক্রবর্তী গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব সামলাছিলেন। উপাচার্য না থাকার কারণে প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত সব সিদ্ধান্তই স্থগিত ছিল এতদিন। এছাড়াও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক হয়নি এতদিন। উপাচার্য নিযুক্ত হওয়াতে এবার এই সমস্ত কাজগুলি দ্রুত সমাধান হবে বলে আশাবাদী ছাত্র-ছাত্রী সহ অধ্যাপক মহল।