স্বরূপ সাহা গাজোল : মালদার প্রত্যন্ত গ্রামের বিজেপির মহিলা নেত্রীদের সাথে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি। উত্তর মালদার মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা ও গাজলের পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী গাঙ্গুলী সরকারের কাছে এই দিন প্রধানমন্ত্রীর ফোন আসে। নরেন্দ্র মোদি গাঙ্গুলী সরকারের কাছে রাজ্যের হাল হাকিকত নিয়ে জানতে চান। গাঙ্গুলী রাজ্যে কাজের অভাব,নিয়োগ দুর্নীতি, চাকরি না পাওয়ার সমস্যা এই বিষয় গুলি নিয়ে মোদির সাথে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি, হবিবপুরের বৈদ্যপুরের পঞ্চায়েত সদস্য লতিকা হালদারের সাথে দোভাষীর মাধ্যমে মোবাইলে কথা বলে খোঁজ খবর নেন প্রধানমন্ত্রী। লতিকা দেবীর বুথে ভোটের কাজকর্ম বিজেপি কর্মীরা ঠিকভাবে পালন করছেন কিনা তাও খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের ভোটে সন্ত্রাসের ব্যাপারে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী এবং আশ্বস্ত করেন নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে সচেষ্ট। মহিলাদের ওপর কোনরকম চাপ আসছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন গাঙ্গুলী সরকার ও লতিকা হালদাররা। তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী ফোন পাওয়ার পর তিনি এবং গ্রামের মহিলারা উজ্জীবিত। লোকসভা নির্বাচনে তিনি ও তার সাথীরা মন দিয়ে ভোটের কাজ করতে চান।এমনই জানান লতিকা দেবী। একইভাবে গাজলের গাঙ্গুলী সরকার প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে আবেগে আপ্লুত। তার কাছেও প্রধানমন্ত্রী জানতে চান তৃণমূল কোনরকম হিংসা ছড়াচ্ছে কিনা। গাঙ্গুলী দেবী জানান, দল বেঁধে তারা কাজ করছেন। তাই বিরোধীরা সেরকম কোনো ক্ষতি তাদের করতে পারছে না। ফোনে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এই দুজন ছাড়াও দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মী শুভঙ্কর সাহার কাছেও নরেন্দ্র মোদির ফোন আসে। এই নিয়ে উত্তরবঙ্গে মোট পাঁচজন কর্মীর সাথে ফোনে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।