জোট করেছে কংগ্রেস, সি পি এম, বিজেপি। তৃণমূল করেছে মানুষের জোট। রাজ্যের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য মালদার মানুষকে নিয়ে দিল্লিতে ধর্নার আহ্বান জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনে এসে দিল্লির মোদি সরকারের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার সুজাপুরের হাতিমারি ময়দানে পুর আড়াইটা নাগাদ হেলিকপ্টারে এসে তিনি উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি জোট করে প্রার্থী দিয়ে তৃণমূলকে হারাতে চাইছে কিন্তু পারবেনা।মোদি সরকার এই রাজ্যের ন্যায্য পাওনা টাকা অন্যায় ভাবে আটকে রেখেছে ভোটের দুমাস পর পঞ্চাশ হাজার মানুষ কে নিয়ে আমি দিল্লি অভিযান করব আপনারাও আমার সাথে থাকুন এই টাকা নিয়ে আসবো । দিল্লির রাস্তায় বসে আমি আপনাদের ন্যায্য পাওনা আদায় করে আনবো। তিনি কর্মী সমর্থকদের কে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আমাদের সাথে আছেন কিনা। উল্লাসের সাথে কর্মী সমর্থকরা উনাকে সমর্থন জানান। তিনি বলেন, আপনাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার এবং সেখানে গিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা অন্যায় ভাবে যে মোদি সরকার আটকে রেখেছে তা আমরা উদ্ধার করবোই। তিনি আবেদন জানান, ভুল করেও নির্দল বা অন্য দলকে ভোট দেবেন না। যারা এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস করে ভোটের সময় টিকিট না পেয়ে অন্য দল বা নির্দল করছে এই নির্দলদের কোন অবস্থাতেই আর দলে ফেরানো হবে না। গলা কেটে দিলেও আমরা জয় বাংলা বলবো। এত ইডি এবং সিবিআই আমার পেছনে লাগিও কিছু করতে পারেনি। তাই আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। আমি আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করবোই।

তিনি কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন অধীর চৌধুরী হচ্ছেন বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট। তিনি কোনো সময় বিজেপির কোনো নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন না বরং তিনি মোদীর দেওয়া সিকিউরিটি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। একই রকম ভাবে সিপিএমকে তিনি আক্রমণ করে বলেন যে তারাও বিজেপির কোন নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেন না। কিন্তু তৃণমূলকে সরানোর জন্য এরা সবাই এক হয়েছে।
আর দশ মাস পরই লোকসভা নির্বাচন, গত লোকসভাতে মালদার দুটি কেন্দ্রে একটিতে বিজেপি এবং অপরটিতে কংগ্রেস জিতেছিল। তিনি মানুষের কাছে প্রশ্ন তোলেন, জিজ্ঞাসা করুন তারা কি কি উন্নয়ন করেছেন। ক্ষমতা থাকলে সামনে এসে বলুন তারা। মোদী বলেছিলেন আচ্ছে দিন ফিরে আসবে। প্রধানমন্ত্রী গ্যারান্টি দিয়েছিলেন যে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিন্তু কোথায় তিনি ব্যবস্থা নিতে পেরেছেন তার দলেরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনি তো দুর্নীতিগ্রস্ত আপনারা সবাই জানেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি কেনো মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, উন্নয়ন, কাজ চাকরি সবই দেবেন । কি দিতে পেরেছেন তিনি।এইরকম কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে যা যা দেবেন বলে ছিলেন তাই তাই দিয়েছেন লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী সহ একাধিক প্রকল্প সুবিধা আজকে বাংলার মানুষ পাচ্ছে। এত কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পরেও মুখ্যমন্ত্রী তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করে চলেছেন। আপনারা এর বিচার করবেন।
কর্ণাটকসহ দাক্ষিণাত্যে যেমন বিজেপি সাফ হয়ে গিয়েছে তেমনি মধ্যপ্রদেশ রাজস্থান তেলেঙ্গানা সহ মোট পাঁচটি রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হারবে তিনি খুব জোড়ের সাথে দাবী করেন যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে একটি নতুন সরকার আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই পঞ্চায়েতে নির্বাচনও গুরুত্ব পূর্ণ।