নিজস্ব সংবাদদাতা: এক ছাত্রী কে ধর্ষণের করে খুনের ঘটনায় যখন আগুন জ্বলছে কালিয়াগঞ্জে ঠিক সেই সময় মালদার কালিয়াচকের একটি পটল ক্ষেতের মধ্যে থেকে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে দেখা দিল উত্তেজনা। মঙ্গলবার প্রতিদিনের মত ক্ষেতে কাজ করতে যায় ওই এলাকার কিছু বাসিন্দা। কাজ করতে গিয়ে ক্ষেতের মধ্যে তারা ওই কিশোরীর দেহ পড়ে থাকতে দেখে। মৃত নাবালিকা ওই এলাকার নয় বলে চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে।
গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় কালিয়াচক থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনার স্থলে ছুটে আসে এসডিপিও সম্ভব জৈনের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিকেল কলেজে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। মৃতার পরিবারের লোকজনদের এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানানো হলে বিন্দুমাত্র দেরি না করে মালদা মেডিকেলে এসে দেহ সনাক্ত করে পরিবারের লোকেরা। পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায় যে, বিশ্বজিৎ মন্ডল নামে এক বছর ২৯ এর এক যুবকের সাথে ওই কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোমবার ওই কিশোরীকে ফোন করে ডাকে বিশ্বজিৎ। তারপর দীর্ঘ সময় ওই নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় মালদা থানার দ্বারস্থ হয় ওই কিশোরীর পরিবারের লোকেরা। পরিবারের লোকেদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রেমিক বিশ্বজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্যদিকে, এই ঘটনার কথা জানতে পেরে মালদা মেডিকেলে পরিবারের সাথে দেখা করতে আসে বিজেপি – সিপিএম দুই দলের মহিলা সদস্যরা। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয় দুই দলের পক্ষ থেকে। তবে মৃতদেহ কার পক্ষে যাবে এই নিয়ে চরম বচসায় জড়িয়ে পড়ে এই দুই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবাড়ী চৌরঙ্গী মোড়ে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিজেপি। যার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।